আপনি যখনই আপনার গর্ভাবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন তখনই আপনার পারিবারিক চিকিৎসক অথবা ধাত্রীর সাথে যোগাযোগ করুন। (যদি আপনি এখনও কোন চিকিৎসক অথবা ধাত্রীর সাথে কথা না বলে থাকেন, তাহলে তা এখনই করুন)
যদি এমন হয় যে, আপনি আপনার গর্ভাবস্থা সম্পর্কে বাড়িতে জানতে পেরেছেন তাও আপনার একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত যাতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন এবং প্রসুতি সেবা পাওয়া শুরু করতে পারেন।
বেশির ভাগ ডাক্তার হয়তো আপনাকে ৮ সপ্তাহের আগে দেখা করতে বলবেন না যদি না আপনার পূর্বে গর্ভাবস্থাজনিত কোন সমস্যা না থেকে থাকে অথবা যোনি অঞ্চল থেকে রক্তপাত, পেটে ব্যাথা, প্রচন্ড বমিবমিভাব এর মতো উপসর্গ না থাকে। আপনি যদি কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন অথবা ক্ষতিকর কিছুর সংস্পর্শে এসেছেন বলে মনে করছেন তাহলে আপনার ধাত্রী নয়তো চিকিৎসকের সাথে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কথা বলুন।
আপনার প্রথম দেখা করতে যাওয়াটা হয়তো একটু বেশি সময় নিতে পারে যদি না আপনার আর কোন সমস্যা না থাকে। প্রত্যেক পরীক্ষার সময় আপনার যদি কিছু জানার থাকে তাহলে তা বলতে ভয় পাবেন না। যদি পূর্ব নির্ধারিত ব্যবস্থার মধ্যে কোন প্রশ্ন উঠে আসে, তখন হয়তোবা আপনার সাহায্যে তা আরো ভাল করা যেতে পারে। আপনি অনেক সেবাদানকারীর সাথে পরিচিত হবেন এবং আপনার উচিত এমন একজনকে বেছে নেয়া যাকে আপনি পছন্দ ও বিশ্বাস করেন। বেশীরভাগ গর্ভবর্তী মহিলা ১০ থেকে ১৫ বার প্রসুতি সেবার জন্য সেবাদানকারীর সাথে দেখা করেন।
সাধারণত, একজন ভবিষ্যৎ মা তার চিকিৎসক ও ধাত্রীর সাথে তার প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে প্রতি চার সপ্তাহেই দেখা করেন। তৃতীয় মাসে আরো বেশী দেখা করতে যান, সাধারণত প্রতি ২ সপ্তাহে একবার এভাবে ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। তারপর শিশু জন্ম নেবার আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে।
আপনি কতবার ডাক্তারের কাছে যাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। আানি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন অথবা অন্য কোন সমস্যা থাকে তবে আপনি আরো অনেকবার এই সেবার জন্য আসতে পারেন। আপনার যদি আগে কোন ধরনের গর্ভকালীন সমস্যা থাকে অথবা নতুন করে কোন সমস্যার জন্ম নেয় তবে আপনার স্বাভাবিকের চাইতে বেশি এই সেবার প্রয়োজন রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস